এস এম তানবীর, মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর জেলার কালকিনি পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের ৯ নং গোপালপুর এ আর এস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্টীলের বেঞ্চ ভাংগাড়ি দোকানে বিক্রির অভিযোগ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ও দপ্তরির বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত সবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় কথিত সাংবাদিক বিদ্যালয় ব্যাবস্থাপনা কমিটির সদস্যের তোপের মুখে পরে সাংবাদিকরা। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে ঐ দপ্তরির পক্ষে ক্ষমা চান সাংবাদিকদের কাছে।
গত ৩ আগষ্ট বুধবার গোপালপুর বাস স্টান্ডে ছালামের ভাংগাড়ি দোকানে সরকারি স্কুলের বেঞ্চ দেখতে পায় এক সাংবাদিক। ভাংগাড়ি দোকান মালিক সালামকে জিঞ্জাসা করলে জানাযায় এ বেঞ্চ তার কাছে বিক্রি করে দিয়েছে গোপালপুর এ আর এস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। তবে তিনি তার নাম জানেনা বলে জানান। পরবর্তীতে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য মাদারীপুরের বেশ কয়েকটি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এ আর এস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে বাধা প্রদান করেন উক্ত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাংবাদিক পরিচয়ধারী শামিম, তবে তিনি কোন মিডিয়া কর্মরত তা জানা যায়নি, কথিত সাংবাদিক সৈয়দ শামিম সাংবাদিকদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে তিনি দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার কালকিনি প্রতিনিধি, নাসির উদ্দিন লিটনকে দিয়ে মোবাইল ফোনে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য হুমকি ধমকি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাংবাদিক পরিচয়ধারী শামিম ও দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার কালকিনি প্রতিনিধি, নাসির উদ্দিন লিটন স্থানীয় কিছু লোক নিয়ে সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধা প্রদান করেন ।
৯ নং গোপালপুর এ আর এস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী মোঃ ফরহাদ হোসেনকে বেঞ্চ বিক্রির বিষয় জিজ্ঞেস করা হলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে স্বীকার করে বলেন যে গতকাল স্কুল বিশেষ ছুটি হওয়ায় লোকচক্ষুর অড়ালে তিনি উক্ত বেঞ্চ গুলো ভাংড়ি দোকানে বিক্রি করে দিয়েছেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের পায়ে ধরে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুলতানাজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, গতকাল ১ আগস্ট ২০২৩ মঙ্গলবার স্কুল বন্ধ থাকায় পরের দিন ২ আগস্ট প্রতিদিনের মতো স্কুলের প্রবেশের পর তিনি দেখতে পান স্কুলের পরিত্যক্ত একটি রুমে রক্ষিত অতিরিক্ত বেঞ্চগেলো নেই। পরে স্কুলের দপ্তরী মোঃ ফরহাদ হোসেনকে জিজ্ঞেস করলে প্রথমে তিনি সরকারি সম্পত্তি গায়েবের বিষয়টি অস্বীকার করলে পরে স্বিকার করে বলেন আমার ভুল হয়ে গেছে। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘটনার সত্যতা পেলে ঐ দপ্তরির পক্ষে ক্ষমা চান সাংবাদিকদের কাছে। প্রয়োজনে ঐ বেঞ্চ পুনরায় বিদ্যালয়ে ফেরত নিয়ে আসার কথা বলেন তিনি।
এই বিষয়ে কালকিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসার বদিউজ্জামান জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষটি জানেননা, সত্যতা যাচাই পূর্বক নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :