ধর্ম ডেস্ক : ‘স্বামী হলো স্ত্রীর জন্য সবচেয়ে বড় নেয়ামত’। স্বামীর অবস্থান পাশে না থাকলে পুরো দুনিয়াটাই পাশে থাকছে না। কোনো ভরসা, স্থায়ী কোনো আশ্রয় কিংবা প্রশান্তির কোনো জায়গা বলতে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই, স্বামীর বৈধ সব ক্ষেত্রে স্ত্রীর আনুগত্য একান্ত কর্তব্য।
অনেক সময় স্বামীর মন-মানসিকতা প্রফুল থাকে না। সে সময় স্বামীর অবস্থা বুঝার চেষ্টা করুন। স্বামীর আর্থিক অবস্থানের দিকে লক্ষ রেখে নিজেদের আবদারগুলো প্রকাশ করুন। অহেতুক কোনো চাওয়া-পাওয়া নিয়ে স্বামীকে বেহুদা কথা শুনাবেন না। স্বামীর কোনো অযোগ্যতা নিয়ে কথা নয়; বরং তাকে উৎসাহিত করুন ভালো কোনো কাজে। স্ত্রীর সঙ্গটা স্বামীর জন্য অনেক বড় মানের হয়। তার দুঃখের সময় তাকে জড়িয়ে ধরুন এবং খুশি করার চেষ্টা করুন।
খাদিজা (রা.) রাসূল (সা.)-এর দুঃখের সময়টায় সবচেয়ে বেশি পাশে ছিলেন। তাঁকে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন। বাইর থেকে স্বামী বাড়ি ফিরলে আগে সালাম বিনিময় করুন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে উভয়ই আলোচনা করুন এবং মতামত দিন। স্বামীর বৈধ সব হুকুম অক্ষরে অক্ষরে পালন করুন। কারণ কখনো স্বামী রেগে থাকলে মনে রাখবেন নিজের ওপর আল্লাহ নারাজ রয়েছেন।
রাসূল (সা.) বলেছেন, জাহান্নামে নারীদের অবস্থান বেশি। কেননা তারা বেশি বেশি অভিশাপ দেয় এবং স্বামীর অকৃতজ্ঞ ও অবাধ্য হয়। স্বামীকে ইম্প্রেস করার চেষ্টা করুন যেন নিজের প্রতি অনীহা চলে না আসে। এমন কোনো আচরণ প্রকাশ করবেন না যাতে স্বামীর মনে কষ্ট লাগে।
বিশেষ করে স্বামী তখনই কষ্ট বেশি পায় যখন জানতে পারে যে, স্ত্রী পরকিয়ায় লিপ্ত। সুতরাং, এমন কাজে কখনো পা বাড়াবেন না।
স্বামীর যত অর্জন, যত চেষ্টা রয়েছে সবকিছু স্ত্রীকে ঘিরে। কখনো স্বামীর কণ্ঠস্বরের ওপর নিজের কণ্ঠস্বরকে উঁচু করবেন না। স্বামীকে বেশি বেশি ভালোবাসা দিন এবং স্বামীর ভুলগুলোকে ভুলে যান আর পরকালের পথে সৎকর্ম নিয়ে এগিয়ে চলুন। আশা করা যায়, এমন মধুর সম্পর্কে কখনো ফাটল ধরবে না। আল্লাহতায়ালা প্রতিটি দাম্পত্য জীবনকে সুখময় করুন। আমিন।
আজকালের কন্ঠ /রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :