আজকালের কন্ঠ ডেস্ক : নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপিত হচ্ছে। আজ বুধবার তীব্র শীতের মধ্যে পতাকা উত্তোলন ও ধানমন্ডিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে সংগঠনটি।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান, লক্ষ্য এবার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’—এই প্রতিপাদ্যে পালিত হচ্ছে ছাত্রলীগের এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ। আজ কর্মসূচির প্রথম দিনে তীব্র শীতের মধ্যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্যাপনে অংশ নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সকাল ছয়টায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল আটটায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফের নেতৃত্বে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এ সময় সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি রাজিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডু এবং ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। একই সময়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একটি প্রতিনিধিদল।
ধানমন্ডিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে জড়ো হন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সেখানে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণের কর্মসূচিও রেখেছেন তাঁরা।
আগামী শুক্রবার বেলা আড়াইটায় ছাত্রলীগ রাজধানীতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা করবে। এ ছাড়া ৫-৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, স্বেচ্ছায় রক্তদান ও সংগৃহীত রক্ত বিতরণ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণের কর্মসূচি।
প্রতিষ্ঠার পর বাঙালির স্বাধিকারের বিভিন্ন আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ—সর্বত্রই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ছাত্রলীগের। সময়ের পরিক্রমায় ছাত্রলীগ একাধিক ধারায় বিভক্ত হয়েছে। বর্তমানে ছাত্রলীগ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সমর্থিত জাসদ ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ জাসদ–সমর্থিত ছাত্রলীগ। তারাও আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে।
তবে ছাত্রলীগের নাম উচ্চারিত হলে এখন আওয়ামী লীগ–সমর্থিত ছাত্রলীগের কথা সবার মাথায় আসে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিজেদের মধ্যে দলাদলি, অন্তঃকোন্দল, হামলা-মারামারিসহ নানা কারণে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত ছাত্রলীগের অনেক সমালোচনা আছে।
প্রতিষ্ঠার পর বাঙালির স্বাধিকারের বিভিন্ন আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ—সর্বত্রই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ছাত্রলীগের।
সময়ের পরিক্রমায় ছাত্রলীগ একাধিক ধারায় বিভক্ত হয়েছে। বর্তমানে ছাত্রলীগ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সমর্থিত জাসদ ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ জাসদ–সমর্থিত ছাত্রলীগ। তারাও আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে। তবে ছাত্রলীগের নাম উচ্চারিত হলে এখন আওয়ামী লীগ–সমর্থিত ছাত্রলীগের কথা সবার মাথায় আসে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিজেদের মধ্যে দলাদলি, অন্তঃকোন্দল, হামলা-মারামারিসহ নানা কারণে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত ছাত্রলীগের অনেক সমালোচনা আছে।
গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ‘সুবিধাজনক সময়ে’ অনুষ্ঠিতব্য এসব কর্মসূচির মধ্যে আছে—প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজ’ শীর্ষক মতবিনিময়; কনসার্ট ফর স্মার্ট বাংলাদেশ আয়োজন; ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনীর আয়োজন; ছাত্রলীগের সব সাংগঠনিক ইউনিটের দলীয় কার্যালয়ে গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা; স্মার্ট বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড আয়োজন; দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরস্কারপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চা-চক্র ইত্যাদি।
আপনার মতামত লিখুন :