কোটি টাকা ব্যয়ের সড়ক দখল করে চলছে বানিজ্য


দৈনিক সিরাজগঞ্জ ডেস্ক প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২২, ২০২৩, ৫:২৪ অপরাহ্ন /
কোটি টাকা ব্যয়ের সড়ক দখল করে চলছে বানিজ্য

বিশেষ প্রতিনিধি,পটুয়াখালী : কোটি টাকা ব্যয়ের সড়ক দখল করে ব্যাবসা করছেন ব্যাবসায়ীরা,পটুয়াখালীর নিউমার্কেট থেকে লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার পুরোটাই দখল করে রেখেছেন স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা।

পটুয়াখালী শহরের সদর রোডের রাস্তায় যানজট থাকায় এর বিপরীত দিক দিয়ে নদীর পাশ ঘেষে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় আরেকটি সড়ক , যেখান দিয়ে যাতায়াত করার কথা ছিলো ভারি যানবাহন সেই রাস্তাটা পুরোটা থাকে দিনরাত ব্যাবসায়ীদের দখলে লঞ্চঘাট থেকে শুরু হয়ে শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্ক পর্যন্ত দখলে থাকে স্টিল আলমারি ব্যাবসায়ীরা এবং পুরোনো মালামাল দোকানি ব্যবসায়ীদের আলাউদ্দিন শিশু পার্কের পর থেকে দখলে থাকে রড সিমেন্ট ব্যাবসায়ীদের ভারী-ভারী যানবাহন রাস্তার দুইপাশে থামিয়ে দিনভর নামানো উঠানো হয় রড সিমেন্ট পুরো চরপাড়া পর্যন্ত।

পরের অংশ দখলে থাকে কাঠমিল ব্যাবসায়ীদের দখলে প্রায় পটুয়াখালী সদর থানার নৌঘাটি পর্যন্ত পরের অংশ দখলে থাকে সবজি ও তরিতরকারি সবজি ব্যাবসায়ীদের দখলে রাস্তার দুইপাশে বসে রাস্তার উপরে দুই পাশে সবজি সাজিয়ে রাখে এমন ভাবে যে ক্রেতারা ক্রয় করার জন্য দাড়ালে আর মানুষ চলাচলের জায়গা থাকে না ।পরের অংশ থেকে শুরু হয় বড় বড় ঝুপড়ি খাচা যে গুলোতে রাখা হয় মুরগী রাস্তার দুইপাশে এবং ব্যাবসায়ীদের টেম্পো অটোরিকশা দিনভর নামানো হয় মুরগী এর পরের অংশ থেকে রাস্তার দুইপাশে বসে মাছের ব্যাবসায়ীরা যেখান থেকে জনগণের যাতায়াতেই সমস্যা এর পরের অংশ সবজির আড়ৎতদারদের দখলে পুরো রাস্তার দুইপাশে থাকে বড় বড় ট্রাক ট্রলি ব্যাবসায়ীদের।

সবজি ব্যাবসায়ী জামাল জানান, আমাদের কোনো রকম বাজার বসার জায়গা না থাকায় আমরা কোথায় বসবো তাই আমরা এই রাস্তায় সবজি সাজিয়ে বসি এবং বিক্রি করি। আমাদের স্থায়ী কোনো জায়গা নাই আমাদের দাবী আমাদের জন্য একটা স্থায়ী বাজার করে দেওয়ার।

মুরগী ব্যাবসায়ী হেলাল আহমেদ জানান, আমাদের কোনোরকম জায়গা নেই আমাদের মুরগীর রাখার জায়গা দরকার অনেক কিন্তু আমাদের তেমন রাখার জায়গা নেই এবং মুরগী ড্রেসিং করার জন্য যে মেশিন আছে সেই মেশিন রাখার জায়গা না থাকায় রাস্তার উপরে এইভাবেই রাখতে হয় সব কিছু। আমাদের দাবী আমাদের জন্য স্থায়ী একটা জায়গা করে দেওয়ার।

মাছ ব্যাবসায়ী ফজলে রাব্বী জানান,আমাদের মাছের বাজার এর জায়গা অনেক ছোট হওয়ায় সবাই আড়ৎদারদের থেকে মাছ ক্রয় করে রাস্তার উপরে টিনের পাত্রে সাজিয়ে মাছ বিক্রি করি আমাদের জন্য একটা বড় আকারের স্থায়ী মাছের বাজার কোথাও করে দিলে আমরা সেখানে ব্যাবসা বানিজ্য করেতে পারবো।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহাম্মেদ জানান, আমাদের শহরের বয়স প্রায় ১৩১ বছর সেই অনুপাতে কিন্তু আমাদের রাস্তাঘাট গুলো সম্প্রসারিত করতে পারি নাই, তাই সদর রোডের পাশাপাশি আমরা পিছনের যে সড়কটা সেটাকে প্রসস্থ করে ফোরলেন মেরিন ড্রাইভ করার চিন্তাভাবনা করতেছি এইটা হলে আমাদের শহরের জ্যাম কিছুটা লাঘব হইতো আমরা অনেকগুলো সড়কে ওনওয়ে করে দিবো তাহলে দেখা যাবে ৮-১০ বছরে কোনরকম জ্যাম হবে না আসলে ভাসমান মানুষগুলো এখানে ফ্লরিং দোকান নিয়ে বসে ভ্যান নিয়া বসে আসলে এগুলোকে প্রতিনিয়ত বাধা দেওয়ার চেষ্টা করি তাদেরকে অনেক সময় শাস্তির আওতায় নিয়ে আসি কিন্তু তারপর ও দেখা যায় এ কাজ গুলো ঘটে আপনাদের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চাই অতি শীঘ্রই আরো কঠোর ব্যাবস্থা নিবো,এবং তাদের জন্য একটা ব্যাবস্থা করবো আসলে অভ্যাস গত কারনেই ওই কাজ গুলো তারা করে থাকে, নিষেধ করা শর্তেও তারা ভাসমান দোকান নিয়া বসে।