এসএসসি পরীক্ষার্থীর অভিভাবকদের বিশেষ বার্তা দিলেন : চঞ্চল চৌধুরী


দৈনিক সিরাজগঞ্জ ডেস্ক প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৩০, ২০২৩, ১২:০৩ অপরাহ্ন /
এসএসসি পরীক্ষার্থীর অভিভাবকদের বিশেষ বার্তা দিলেন : চঞ্চল চৌধুরী

অনলাইন ডেস্ক : আজ রবিবার শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এদিন সকাল ১০টায় সারাদেশে একযোগে শুরু হয় এই পরীক্ষা। এ উপলক্ষে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে এই বার্তা দেন তিনি।

শুরুতেই চঞ্চল চৌধুরী বলেন, “২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। আমাদের যে সকল সন্তান এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে, তাদের সবার জন্য শুভ কামনা। আর যারা অভিভাবক তাদের জন্য দুটি কথা।”
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, “আমরা কেউ-ই মনে হয় এত ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম না বা এসব পরীক্ষায় এত ভালো রেজাল্ট করিনি, যাতে সবাই তাদের সন্তানের কাছ থেকে গোল্ডেন জিপিএ আশা করতে পারি। হয়তো অনেক কষ্ট করে ওদের জন্য চেষ্টা করেছেন। আমাদের সকল সন্তানের মেধা সমান নয়। যে যার মেধা আর চর্চা অনুযায়ী ফলাফল করবে। পারলে ওদের মেধার ওপর আস্থা রেখে, মানসিকভাবে সাপোর্ট দিন। কেউ একটি পরীক্ষায় একটু খারাপ করলে, পরের পরীক্ষায় যেন ভালো করতে পারে সেই সহযোগিতা করুন।

শুধু একাডেমিক ফলাফল নয়, মানুষ হওয়া জরুরি। তা উল্লেখ করে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘দয়া করে একটা কথা মনে রাখবেন শুধু একাডেমিক ভালো রেজাল্টই শেষ কথা নয়, তা দিয়ে পরিপূর্ণ মানুষও হওয়া যায় না। বরং সন্তানের আদর্শিক জায়গাটা ঠিক করে দিন এটা অভিভাবক হিসেবে সবার প্রধান দায়িত্ব। আমার মনে হয় দেশে মেধাবী মানুষের চেয়ে সৎ মানুষের প্রয়োজন বেশি।”

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমাদের সন্তানদের বলছি, সারা বছর যাই করে থাকো না কেন, এই কটা দিন ফাঁকি না দিয়ে মনোযোগী হয়ে পরীক্ষাটা দাও। কারণ সব ভালো তার, শেষ ভালো যার। শুধু বাবা-মায়ের জন্য নয়, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে পড়ালেখার প্রয়োজন আছে, শিক্ষিত হওয়ার দরকার আছে। ঠাণ্ডা মাথায় পরীক্ষাটা শেষ করো, দেখবে ভালো কিছুই তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবারো শুভ কামনা।”

লেখার শেষাংশে অভিভাবকদের চঞ্চল চৌধুরী বলেন, “শেষবারের মতো অভিভাবকদের বলছি, পরীক্ষার টেনশনে ওদের মাথা গরম হলেও আপনি আপনার মাথাটা ঠাণ্ডা রাখুন। গরম মাথায় ভালো কিছু হয় না।”

সবশেষে চঞ্চল চৌধুরী বিশেষ দ্রষ্টব্যে ( বি. দ্র.) লেখেন, “দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় ছিলাম তো, তাই একটু মাস্টারি করলাম আর কি!”