আমার রাশিটাই এমন : জায়েদ খান


দৈনিক সিরাজগঞ্জ ডেস্ক প্রকাশের সময় : মে ২৮, ২০২৩, ১২:৫৩ অপরাহ্ন /
আমার রাশিটাই এমন : জায়েদ খান

বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়ক জায়েদ খান।বিভিন্ন কারণে বছরজুড়েই আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন তিনি।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কোথাও গেলে মেয়েদের মধ্যমণি হন বলে জনান এই অভিনেতা।

জায়েদ বলেন, আমার রাশিটাই এমন, আমি সবার সঙ্গেই ভালো ব্যবহার করি। আমার কাজগুলোকে আমি খুব এনজয় করি।আমি কোনো কথা বললেই, সেটাকে হয়তো অনেকে বাজেভাবে ব্যাখ্যা করেন। একটা হিরোকে দেখে যদি কোনো মেয়ে কাছে এসে কথা না বলে, কোনো মেয়ে যদি এসে সেলফি না তোলে, ঘাড় না ঘুরিয়ে দেখে, তাহলে আমার মনে হয় তার হিরোগিরি করার কোনো দরকারই নেই।

আমি এই কথাগুলো বলেছিলাম সরলমনে। কিন্তু কথাগুলোকে অনেকে ব্যাঙ্গ করেছে, কেউ বলেছে এটা একটা রোগ জায়েদ খানের।কতটা মানসিকভাবে অসুস্থ তারা। আপনারা তো নিজেরাই আজকে দেখলেন। এটা আরও ৫-১০ বছর আগে থেকেই এমন হয়।

তিনি বলেন, আরেকটা জিনিস আজকে আমি পরিষ্কার করতে চাই। কিছু শ্রেণীর লোক একটি বাজে ব্যাখ্যা দিচ্ছে যে, আমি একটি মেয়ের কথা বলেছি, সে পাঁচটা সিনেমার টাকা কিনে নিয়েছে, আমার সঙ্গে রাত্রি যাপনের জন্য বলেছে।এ ধরনের কোনো কথাই বলিনি। এটা একটা নোংরামি, বাজে কথা । অনেক মেয়েরা থাকে না যে পছন্দের নায়কের সঙ্গে কথা বলতে চায়। কিন্তু আমি সব সময় তাকে এড়িয়ে চলেছি, বলেছি যে আমি ব্যস্ত।

মেয়েটি আমাকে বলেছে যে, আমি আপনার সঙ্গে একটু কথা বলতে চাই, আপনার সম্পর্কে জানতে চাই, আপনি সিনেমায় কত নেন, কিভাবে সিনেমায় এলেন সেই গল্পটা জানতে চাই, এর জন্য দরকার পড়লে আমি আপনার ৫টা সিনেমার শিডিউল আমি কিনে নেব। সে তো ভালোভাবে কথাটা বলেছে। বাজে কিছু বলেনি। সেটাকে কিছু সুশীল লোক, কিছু ইউটিউবাররা, ভিউ বাড়ানোর জন্য বাজেভাবে রিপ্রেজেন্ট করছে। এটা খুবই খারাপ। একটা হিরো বা খেলয়ারের কিছু মেয়ে ভক্ত থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক।

জায়েদ বলেন, আমিও তো একসময় নায়িকার ছবি মানিব্যাগে নিয়ে ঘুরতাম। সেটা কি অন্যায় কিছু ছিল, নিশ্চয়ই না। আজকেও কিন্তু মেয়েরা আমার কাছে এসে ছবি তুলেছে, সোভার ওয়েতে কথা বলেছে, বিষয়গুলোকে যারা খারাপভাবে বলছে, এটা মোটেও কাম্য নয় কিন্তু। আমরা নিজেরাই যদি নিজেদেরকে ছোট করেন, তাহলে কিভাবে হবে। আমাকে পছন্দ না হলে, দেখবেন না। আমাকে ফেসবুকে ফলো করছেন, ইনবক্সে কথাও বলছেন, আবার এগুলোকে বাজেভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে শেয়ার করছেন। এটা কিন্তু আপনার পারিবারিক শিক্ষা, আপনার আর মানসিক দৈন্যতাটা প্রকাশ পায়।

শুধু আমার না, যে কোনো শিল্পীরই যদি কিছু ভালো না লাগে, তাকে দেখবেন না। গঠনমূলক সমালোচনা করেন। কিন্তু যখন বাজে কিছু পোস্ট দেয় তখন সেটা দেখে ভীষণ খারাপ লাগে যে, এই দেশের মানুষদেরকে এতো ভালোবাসি। এদের জন্য কখনও মনে হয়নি বিদেশে চলে যাই। দেশের ও সংস্কৃতির টানে, দেশেই রয়ে গেছি। সর্বোচ্চ পড়াশুনা করে এসেও চাকরি করিনি। চলচ্চিত্রে কাজ করছি। মানুষকে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

অভিনেতা আরও বলেন, তার মানে এই নয় যে আপনারা একটি শিক্ষিত মানুষকে যা ইচ্ছে তাই ট্রল করে যাবেন, লিখে যাবেন এটা একদমই ঠিক না। যদিও আমি এসব নিয়ে মাথাই ঘামাই না। কারণ, যে গাছে ফল বেশি সেখানে মানুষ ঢেলও দেয় বেশি। আমি যতই বলি না কেন, তারা থামবে না কিন্তু। এটা দেখার পর আবার অন্য কিছু বের করবে। এদেরকে আপনি থামাতে পারবেন না। এদের জন্মই হয়েছে মানুষকে ট্রল করার জন্য। এইতটুকু সময় যদি নিজের যোগ্যতার জন্য কিছু করতো, তাহলে তার যোগ্যতার অর্জন বেড়ে যেত। সেটা না করে আরেকজন কে নিয়ে ট্রল করছে। আমার মনে হয় এখান থেকে আপনাদের বের হওয়া উচিৎ।