তাড়াশে নৌকা-ঈগল সমর্থকদের মধ্যে সংঘষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা
দৈনিক সিরাজগঞ্জ ডেস্ক
প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩, ১০:৩০ অপরাহ্ন /
০
সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্রপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তাড়াশ থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে ও আজ শনিবার সকালে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ৫০ জনের নামে দুটি মামলা করা হয়েছে।
উপজেলার সগুনা ইউনিয়নে গতকাল শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল চারটায় আওয়ামীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ (নৌকা প্রতীক) ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. সাখাওয়াত হোসেন সুইটের (ঈগল প্রতীক) সমর্থকদের মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে তাদের পূর্বনির্ধারিত নির্বাচনী জনসভা থাকার পরও ঈগলের প্রার্থী ও সমর্থকরা এ ঘটনার সূত্রপাত করেন।
এ ঘটনায় নৌকার সমর্থক হাসান আলী নামের একজন আহত হয়ে তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। মঞ্জিল তালুকদার নামে নৌকার এক সমর্থককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে কুন্দইল বাজারের অবস্থিত সগুনা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে নৌকার প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজের পক্ষে পথসভার আয়োজন করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। পথসভা শুরুর আগেই ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাখাওয়াত হোসেন সুইট তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বিকেল তিনটার দিকে সেখানে গণসংযোগ করতে যান।
এ সময় ঈগলের সমর্থক আইয়ুব আলী (৫৫) হ্যান্ডমাইকে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস লক্ষ্য করে উচ্চস্বরে প্রচার চালাতে থাকেন। এতে নৌকার সমর্থকরা তাকে অন্যত্র প্রচার চালাতে বলতে উভয় পক্ষের মাঝে বাগবিতণ্ডা ও এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হলে স্থানীয়রা দুই পক্ষ কে দুদিকে সরিয়ে দেয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে গিয়ে মো. মঞ্জিল তালুকদার নামের নৌকার এক সমর্থককে আটক করে।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঈগলের সমর্থক মো. আইয়ুব আলী গতকাল শুক্রবার রাতে বাদী হয়ে ছয় জনকে আসামি করে তাড়াশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে নৌকার সমর্থক মো. কাওসার আলম বাদী হয়ে আজ শনিবার সকালে সাত জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।নৌকার প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, পূর্বনির্ধারিত পথসভায় তিনি উপস্থিত হাওয়ার আগেই স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটায়। এটা ছিল তাদের পূর্বপরিকল্পিত। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাখাওয়াত হোসেন সুইট বলেন, শান্তিপূর্ণ প্রচারণায় নৌকার সমর্থকরা অতর্কিতভাবে তার সমর্থদের ওপর হামলা করে। আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি। নেতাকর্মীদের ধর্য্য ধরতে বলেছি।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো.আরিফুল ইসলাম মন্ডল বলেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থীর পক্ষ থেকে মামলা একদিন আগে হওয়ায় ওই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। নৌকার প্রার্থীর পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ আজ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :